গ্রিন প্র্যাকটিস, হেলথ অ্যান্ড সেফটি ফর আরএসি (প্রথম অধ্যায়)

এসএসসি(ভোকেশনাল) - রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং-১ প্রথম পত্র (নবম শ্রেণি) | - | NCTB BOOK
335
335

রেফ্রিজারেশন (Refrigeration) এবং এয়ার কন্ডিশনিং ( Air Conditioning) এর কাজে রেফ্রিজারেন্ট (Refrigerant) একটি অপরিহার্য ফ্লুইড (Fluid) বা প্রবাহী। এটি ছাড়া এখন পর্যন্ত কোন রেগ্রিজারেটর (Refrigerator), এরার-কন্ডিশনার ( Air Conditioner ), ওয়াটার কুলার (Water Cooler), ডি- হিউমিডিফায়ার (De-Humidifire) তৈরি করা সম্ভব হয়নি। ৱেক্সিজারেন্ট মানব জীবনের জন্য অনেক সুফল বয়ে আনলেও, পরিবেশের উপর এর ক্ষতিকর কিছু প্রভাব রয়েছে। চিন্তা করি তো, পরিবেশের উপর এয় ক্ষতিকর প্রভাবগুলো কী হতে পারে। রেক্সিজারেন্টের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আমাদের প্রিয় পৃথিবীকে পরিবেশের ক্ষতি করে না এমন অনুশীলন বা গ্রিন প্র্যাকটিস (Green Practice) এর মাধ্যমে কীভাবে যুক্ত করতে পারি- এই অধ্যায়ে আমরা সে বিষয়গুলোই জানব ।

এই অধ্যায় পাঠ শেষে আমরা-

  • OSH (Occupational Safety and Health) নীতি এবং পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারব 
  • ব্যক্তিগত সুরক্ষার অনুশীলন করতে পারব
  • হ্যাজার্ড শনাক্ত করতে পারব এবং প্রতিবেদন তৈরি করতে পারব
  • পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার ওজোন স্তরের গুরুত্ব ও করণীয় সম্পর্কে জেনে তা অনুসরণ করতে পারব
  • রেফ্রিজারেশন সেক্টরে “গুড প্র্যাকটিস” ও “রেগুলার প্র্যাকটিস” এর পার্থক্য বুঝে "গুড প্র্যাকটিস* করতে পারব
  • রেফ্রিজারেশন সেক্টরে গ্রীনপলিসি ৰাস্তবায়ন ও এর প্রভাব সম্পর্কে জেনে তা অনুসরণ করতে পারব

উপর্যুক্ত শিখনফলগুলো অর্জনের লক্ষ্যে এই অধ্যায়ে আমরা একটি জব সম্পন্ন করব। এই জবটির মাধ্যমে কিছু বিশেষ যন্ত্রপাতির সঠিক ব্যবহার করার দক্ষতা অর্জন করব । জবটি সম্পন্ন করার আগে প্রয়োজনীয় তাত্ত্বিক বিষয়গুলো জেনে নেই ।

 

 

Content added By

OSH নীতি এবং পদ্ধতি (১.১)

859
859

OSH নীতি এবং পদ্ধতি

এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা OSH নীতিমালা, সুরক্ষা লক্ষণ এবং চিহ্ন সম্পর্কে জানব ।

Content added || updated By

OSH (Occupational Safety and Health) (১.১.১)

453
453

১.১.১ OSH (Occupational Safety and Health)

পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি (Occupational Safety and Health - OSH) বলতে বোঝায় কর্মক্ষেত্রে অর্থাৎ পেশাগত কর্ম সম্পাদনের সময় ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য, মেশিন, ইকুইপমেন্ট ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধান করা ।

OSH নীতিমালা-

  • ওয়ার্ক শপে প্রশিক্ষকের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনব এবং তার নির্দেশনা মেনে চলব 
  • কাজের সময় এ্যাপ্রোন পরিধান করব
  • প্রয়োজন অনুযায়ী জুতা, রাবার গ্লাভস, মাস্ক এবং গগল্স পরিধান করব 
  • কারখানার ভেতর ইমারজেন্সি স্টপ বাটন (Stop Button) কোথায় তা জেনে রাখব
  • কোন মেশিন সঠিক ভাবে চালানো না শিখে ব্যবহার করব না 
  • ঘূর্ণায়মান মেশিনের কাছ থেকে দূরে থাকব 
  • কখনও খোলা বৈদ্যুতিক তারে হাত দিব না
  • ধারালো টুলস পকেটে রাখব না সব সময় কাজের উপযোগী যন্ত্রপাতি সতর্কতার সাথে ব্যবহার করব
  • ত্রুটিপূর্ণ যন্ত্রপাতি ব্যবহার করব না 
  • যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষনের সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করব 
  • তৈলাক্ত হাত দিয়ে যন্ত্র ব্যবহার করব না 
  • ওয়ার্কশপে অগ্নি নির্বাপকের অবস্থান ও ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নেব 
  • ফার্স্ট এইড বক্সের (First Aid Box) অবস্থান ও ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নেব 
  • কাজ শেষে ওয়ার্কশপের সব মেশিন এবং সুইচ বন্ধ আছে কি না তা নিশ্চিত হব 

 

 

Content added By

সুরক্ষা লক্ষণ এবং চিহ্ন (১.১.২)

251
251

১.১.২ সুরক্ষা লক্ষণ এবং চিহ্ন

 

Content added By

ব্যক্তিগত সুরক্ষার অনুশীলন (১.২)

353
353

১.২ ব্যক্তিগত সুরক্ষার অনুশীলন

এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা স্বাস্থ্য, স্বাস্থ্যবিধি, খাদ্যাভাস, নিরাপত্তা, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও নিরাপত্তার সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতি এবং মেশিনের নিরাপত্তা সম্পর্কে জানব ।

 

Content added By

স্বাস্থ্য (১.২.১)

159
159

১.২.১ স্বাস্থ্য (Health)

স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। আমাদের মধ্যে অধিকাংশ লোকই নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি উদাসীন। তাই আমরা অল্পতেই রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ি। একটা প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা শারিরীকভাবে সুস্থ না থাকলে তারা মনোযোগ সহকারে কাজ করতে পারেন না। ফলে কাজে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে এবং কাজে অনুপস্থিতির হারও বেড়ে যায় । এতে কর্মী এবং মালিক উভয় পক্ষই ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সুতরাং স্বাস্থ্য সচেতনতা একটি অতি গুরুত্বপূর্ন বিষয় ।

স্বাস্থ্যবিধি (Hygiene )

স্বাস্থ্যবিধি হচ্ছে এমন একটি বিজ্ঞান যা আমাদেরকে অসুস্থ হওয়ার আগে তার প্রতিরোধ এবং স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ধারনা দিয়ে থাকে। একজন মানুষের শারীরিক, মানসিক, পারিপার্শ্বিক ও সামাজিক অবস্থার পূর্ণাঙ্গ সুস্থ জীবনই হলো ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য। ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি যেভাবে আমাদের নিরাপদ রাখে সেভাবে অন্যদেরকেও অসুস্থ হওয়া থেকে নিরাপদে রাখে। এ ছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি (Sanitary Practice) সম্পর্কে বিশেষ ভাবে জ্ঞাত করে তোলে। স্বাস্থ্যবিধি সাধারণত পরিচ্ছন্নতার সাথে হাত ধৌতকরণ এবং সুন্দর ভাবে শরীর ধৌতকরণের উপর নির্ভরশীল ।

 

Content added By

খাদ্যাভাস (১.২.২)

250
250

১.২.২ খাদ্যাভাস (Food Habit )

খাদ্য বলতে ঐ সব খাবারকে বোঝায় যা খাবার পর শরীরে শক্তি উৎপন্ন হয় এবং বিভিন্ন প্রকার ভিটামিনের অভাব দূর হয়। সঠিক সময় খাদ্য গ্রহণ করা খাদ্যাভাসের অন্যতম গুণ। সঠিক সময় সঠিক পরিমাণে সঠিক ভিটামিনের উপাদান গ্রহণ করাই হচ্ছে খাদ্যাভাস। খাদ্যাভাসের উপর নির্ভর করে জীবন যাত্রা এবং শারীরিক সুস্থতা। খাদ্যাভাসের অভাবেই এখন গ্যাস্ট্রিকের রোগীর সংখ্যা বাড়ছে এবং খাদ্যে গুণগত মান না থাকায় বিভিন্ন রোগের বহিঃপ্রকাশ ঘটছে।

হাত ধৌতকরণ (Hand Wash)

যখন হাত ধোয়া উচিৎ -

  • খাবার তৈরির আগে 
  • খাবার গ্রহণের আগে 
  • খাবার গ্রহণের পরে
  • টয়লেট ব্যবহারের পরে 
  • হাটবাজার বা বাইরে থেকে আসার পরে 
  • জীবজন্তুকে হাত দিয়ে ধরলে
  • হাঁচি-কাশির পরে

হাত অবশ্যই পরিষ্কার পানি এবং সাবান দিয়ে ধুতে হবে। হাত ধোয়ার পর পরিষ্কার কাপড় বা টিস্যুর সাহায্যে হাত মুছতে হবে।

 

Content added By

নিরাপত্তা (১.২.৩)

565
565

১.২.৩ নিরাপত্তা (Safety)

যে কোন প্রকার প্রতিকুল অবস্থা প্রতিরোধের মাধ্যমে নিরাপদে কাজ করাকে সেফটি বা নিরাপত্তা বলে। সেফটি বা নিরাপত্তা ও প্রকার যথা- 

১। ব্যক্তিগত নিরাপত্তা 

২। যন্ত্রপাতি ও মেশিনের নিরাপত্তা 

৩। কারখানার নিরাপত্তা

ব্যক্তিগত নিরাপত্তা 

দুর্ঘটনার হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য যে সব সাবধানতা মেনে চলা হয় তাকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বলে।

ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম (Personal Protective Equipment - PPE )

কাজের সময় দুর্ঘটনার ঝুঁকি হতে কর্মীকে বাঁচানোর জন্যে যে সমস্ত সাজ সরঞ্জাম ও পোশাক পরিচ্ছেদ ব্যবহার করা হয় সেগুলোকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম বলে।

 

 

Content added || updated By

বিভিন্ন প্রকার নিরাপত্তা সরঞ্জামের (PPE) নাম ও এদের ব্যবহার (১.২.৪)

475
475

১.২.৪ নিচে বিভিন্ন প্রকার নিরাপত্তা সরঞ্জামের (PPE) নাম ও এদের ব্যবহার দেয়া হল-

যন্ত্রপাতি ও মেশিনের নিরাপত্তা

যন্ত্রপাতির ক্ষতি না করে কাজ করা এবং যন্ত্রপাতিগুলোকে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করে রাখাই যন্ত্রপাতির নিরাপত্তা। যেমন-

ক) সঠিক নিয়মে মেশিন চালু করা । 

খ) কাজ শেষে অবশ্যই মেশিন বন্ধ করা । 

গ) কাজের জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা। 

ঘ) কোন প্রকার গোলযোগ দেখা দিলে সাথে সাথে মেশিন বন্ধ করা এবং মেরামতের ব্যবস্থা নেয়া 

ঙ) বৈদ্যুতিক সংযোগ মাঝে মাঝে পরীক্ষা করা ইত্যাদি।

 

Content added By

হ্যাজার্ড শনাক্ত এবং প্রতিবেদন তৈরি (১.৩)

557
557

১.৩ হ্যাজার্ড শনাক্ত এবং প্রতিবেদন তৈরি

এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা হ্যাজার্ড ও রিক্ষ, বিভিন্ন প্রকারের হ্যাজার্ড ও রিঙ্ক, হ্যাজার্ড এবং রিক্ষ প্রতিরোধ, প্রাথমিক চিকিৎসা, আগুন এবং আগুন নেভানোর উপকরণ সম্পর্কে জানব ।

Content added || updated By

হ্যাজার্ড (১.৩.১)

2.1k
2.1k

হ্যাজার্ড ও রিস্ক (Hazards & Risks)

১.৩.১ হ্যাজার্ড (Hazards): 

যে সব উৎস বা উপাদানের প্রভাবে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, সেই সব উৎস বা উপাদানকে হ্যাজার্ড বা বিপদ বলে।

বিভিন্ন প্রকারের হ্যাজার্ডসমূহ (Types of Hazards )

  • Biological Hazard: ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, পোকামাকড়, উদ্ভিদ, প্রাণী এবং মানুষ ইত্যাদি। 
  • Chemical Hazard: ভাস্ট বা ধুলা, বিভিন্ন প্যাস, রাসায়নিক পদার্থ ইত্যাদি । 
  • Ergonomic Hazard: কম আলো, কম বায়ু প্রবাহ ইত্যাদি। 
  • Physical Hazard: উচ্চ শব্দ, তাপমাত্রা, বিকিরণ, ভাইব্রেশন, চৌম্বক ক্ষেত্র, উচ্চ চাপ ইত্যাদি । 
  • Psychosocial Hazard: মানসিক চাপ, সহিংসতা ইত্যাদি।

 

Content added || updated By

ঝুঁকি (১.৩.২)

503
503

১.৩.২ ঝুঁকি (Risk)

ব্যক্তির বা ব্যবস্থাপনার অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক দুর্বলতার মাধ্যমে ক্ষতি, দুর্ঘটনা, আঘাত, দায় বা অন্য কোন নেতিবাচক ঘটনার সম্ভাব্যতা বা হুমকি ইত্যাদি হচ্ছে ঝুঁকি।

বিভিন্ন রকম ঝুঁকির সাথে সম্পর্কিত দূর্ঘটনাসমূহ

১) বৈদ্যুতিক ঝুঁকি

ক. পর্যাপ্ত সুরক্ষা ছাড়া বৈদ্যুতিক শকে আহত কাউকে স্পর্শ করা। 

খ. দূর্বল তাপ নিরোধক ও ত্রুটিপূর্ণ বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা। 

গ. খালি পায়ে বৈদ্যুতিক লাইনে কাজ করা।

২) যান্ত্রিক ঝুঁকি

সরঞ্জাম বা যন্ত্রপাতির ৩টি স্থানে যান্ত্রিক ত্রুটি বিদ্যমান যেমন- 

ক. পরিচালনার ক্ষেত্রে। 

খ. যান্ত্রিক শক্তি ট্রান্সমিশন কেন্দ্রে। 

গ. যন্ত্রপাতির ঘূর্ণন এলাকার।

৩) অগ্নি ঝুঁকি

অগ্নি ঝুঁকি নিচে উল্লেখিত কারণে হতে পারে- 

ক. কাঠ, কাগজ, কাপড় ও অন্যান্য সাধারণ উপকরণ নির্দিষ্ট স্থানে না রাখলে । 

খ. পেট্রোল, তেল, গ্রীজ ও দাহ্য পদার্থের সংরক্ষণ সঠিকভাবে না করলে। 

গ. বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে । 

ঘ. ধূমপানের কারণেও অগ্নি ঝুঁকি হতে পারে।

 

 

Content added || updated By

হ্যাজার্ড এবং রিস্ক প্রতিরোধ (১.৩.৩)

249
249

১.৩.৩ হ্যাজার্ড এবং রিস্ক প্রতিরোধ (Control of Hazards and Riska)

কাজ করতে গেলে শুধু হ্যাজার্ড চিহ্নিত করলেই হবে না, তা প্রতিকারের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে হ্যাজার্ড স্থানকে চিহ্নিত করতে হবে। তারপর নিচের ধাপগুলো ধারাবাহিক ভাবে বিবেচনা করে হ্যাজার্ডটি যে সেক্টরের মাধ্যমে প্রতিকার করা যায়, সেই সেক্টরকে জানাতে হবে।

 

Content added By

প্রাথমিক চিকিৎসা (১.৩.৪)

226
226

১.৩.৪ প্রাথমিক চিকিৎসা

হঠাৎ কোন দূর্ঘটনায় আহত বা অসুস্থ লোককে ডাক্তার অথবা হাসপাতালে নেয়ার আগে ঘটনাস্থলে তাৎক্ষনিকভাবে যে চিকিৎসা দেয়া হয় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা বলে । অর্থাৎ রোগীকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেয়ার আগ মুহুর্ত পর্যন্ত রোগীর অবস্থার অবনতি যাতে না হয় সেই দিকে খেয়াল রেখে জীবিত বা সুস্থ রাখার প্রক্রিয়াকে প্রাথমিক চিকিৎসা বলে । অনেক সময় প্রাথমিক চিকিৎসার সাহায্যে একজন রোগীকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তোলা সম্ভব হয়।

প্রাথমিক চিকিৎসার উদ্দেশ্য

ক. জীবন রক্ষা করা 

খ. গুরুতর আঘাতের পর অবস্থা খারাপের দিকে যাওয়া থেকে বিরত রাখা 

গ. অবস্থার উন্নতিতে সাহায্য করা

প্রাথমিক চিকিৎসা বক্স (First Aid Box )

যে বক্সে প্রাথমিক চিকিৎসার উপকরণগুলো রাখা থাকে তাকে First Aid Box বলে। এই বক্সে যে সব জিনিস পত্র থাকে তা হল- মলম, তুলা, ব্যান্ডেজ, ডেটল, স্যাভলন, ব্লেড, ছুরি, ওরস্যালাইন, সিজারস ইত্যাদি ।

 

 

Content added || updated By

আগুন এবং আগুন নেভানোর উপকরণ (১.৩.৫)

784
784

১.৩.৫ আগুন এবং আগুন নেভানোর উপকরণ (Fire and Fire Fighting Equipment)

আগুন: অক্সিজেন, ফুয়েল এবং তাপ এই তিনটি উপাদানের সমন্বয়ে আগুন ধরে। এই তিনটি উপাদানের যে কোন একটি ছাড়া আগুন লাগতে পারে না ।

আগুনকে ৫ ভাগে ভাগ করা যায়-

১. “এ” ক্লাস ফায়ার (A-Class Fire ) 

২. “বি” ক্লাস ফায়ার (B-Class Fire ) 

৩. “সি” ক্লাস ফায়ার (C-Class Fire)

৪. “ডি” ক্লাস ফায়ার (D-Class Fire ) 

৫. “ই” ক্লাস ফায়ার (E-Class Fire )

ফায়ার এক্সটিংগুইশার একটি অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র। এটি প্রধানত দুই প্রকার - 

১. পোর্টেবল টাইপ ফায়ার এক্সটিংগুইশার, 

২. ফিক্সড ইন্সটলেশন টাইপ ফায়ার এক্সটিংগুইশার ।

অগ্নি নির্বাপক সরঞ্জাম (Fire Fighting Equipment)

 

 

Content added By

পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার ওজোন ঘরের গুরুত্ব ও করণীয় সম্পর্কে জেনে তা অনুসরণ করতে পারব (১.৪)

368
368

১.৪ পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার ওজোন ঘরের গুরুত্ব ও করণীয় সম্পর্কে জেনে তা অনুসরণ করতে পারব

এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা ওজোন স্তর, ওজোন স্তর ক্ষয়ের কারণ, বায়ুমণ্ডলের স্তরবিন্যাস, রেগ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং সেক্টরের মাধ্যমে ওজোন স্তরের ক্ষতি সম্পর্কে জানব ।

 

Content added || updated By

ওজোন স্তর (১.৪.১)

552
552

১.৪.১ ওজোন স্তর

ওজোন স্তর হচ্ছে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের একটি স্তর যেখানে তুলনামুলকভাবে বেশি মাত্রায় ওজোন গ্যাস থাকে । এই স্তর থাকে প্রধানতঃ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের নিচের অংশে বা ভূপৃষ্ঠ থেকে কমবেশি ২০-৩০ কি:মি: উপরে - অবস্থিত। এই জ্বরের পুরুত্ব স্থানভেদে এবং মৌসুমভেদে কমবেশি হয়। সুর্য থেকে আগত ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি ওজোন স্তর শোষণ করে নেয় এবং পৃথিবীর জীবজগতের সব প্রাণীকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করে । এজন্য ওজোন স্তরকে পৃথিবীর চাল বলা হয়।

ওজোন স্তর ক্ষরের কারণ 

বিজ্ঞানীদের হিসাব অনুযায়ী ১৯৭০ সালের পর থেকে ওজোন স্তরের প্রায় ৪% ধ্বংস হয়েছে। উত্তর মেরুর দিকে ধ্বংসের মাত্রা বেশি। ওজোন স্তর ক্ষরের কারণকে দু'টি ভাগে ভাগ করা যায়। 

ফর্মা-২, রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং-১, প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র, ৯ম-১০ম শ্রেণি 

১) প্রাকৃতিক- অগ্ন্যুৎপাত, বজ্রপাত প্রভৃতি ঘটনায় ওজোন স্তর কিছুটা নষ্ট হয় । 

২) মানব সৃষ্ট - মাত্রাতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণ, নিত্য প্রয়োজনীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্রপাতি, রেফ্রিজারেটর, অ্যারোসল, অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ইত্যাদি ব্যবহার ।

পরিবেশের বিরূপ প্রতিক্রিয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তন সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে এই ওজোন স্তর । ওজোন স্তরে ওজোনের ঘনত্ব খুব কম হলেও জীবনের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সূর্য থেকে আগত ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি এটি শোষণ করে নেয়। ওজোন স্তর সূর্যের ক্ষতিকর মধ্যম মাত্রার রশ্মির (তরঙ্গ দৈর্ঘ্য) শতকরা ৯৭-৯৯ অংশই শোষণ করে নেয়, যা কিনা ভূ-পৃষ্ঠে অবস্থানরত উদ্ভাসিত জীবনসমূহের ক্ষতিসাধন করতে সক্ষম । মধ্যম তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের সূর্যের এই অতিবেগুনি রশ্মি মানব দেহের ত্বক এমনকি হাড়ের ক্যান্সারসহ অন্যান্য মারাত্মক ব্যাধি সৃষ্টি করার ক্ষমতা রাখে। এই ক্ষতিকর রশ্মি পৃথিবীর জীবজগতের সকল প্রাণের প্রতি তীব্র হুমকি স্বরূপ । তাই বায়ুমন্ডলের ওজোন স্তর প্রতিনিয়তই এই মারাত্নক ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মিগুলোকে প্রতিহত করে পৃথিবীর প্রাণীকুলকে রক্ষা করছে ।

অপরদিকে পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, বনজ সম্পদ হ্রাস পাচ্ছে, প্রকৃতি ধ্বংস হচ্ছে। যদি ওজোন স্তরের মাত্রাতিরিক্ত ক্ষয় হতে শুরু করে, তাহলে জীবজগতের জন্য ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি সরাসরি পৃথিবীতে চলে আসবে। এটি সমগ্র জীবজগতের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। যেমন- প্রাণীদের রোগ- প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে, চোখের ছানি, ত্বকের ক্যান্সার এবং অন্য নতুন নতুন রোগের উদ্ভব ঘটবে। তথ্যমতে, পৃথিবীতে এক পঞ্চমাংশ অন্ধ রোগী ও নব্বই শতাংশ ক্যান্সার রোগের কারণের জন্য দায়ী অতিবেগুনি রশ্মি। এই রশ্মির প্রভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সন্তানের জন্ম হয়ে থাকে।

এই রশ্মি খাদ্যশস্যকেও ক্ষতিগ্রস্থ করবে। উদ্ভিদের পাতার রোগ বৃদ্ধি পাবে। ফসলের রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণকে বাড়িয়ে দেবে। এক কথায়, এই রশ্মির প্রভাবে প্রাণীজগতের অনেক প্রাণী বিলুপ্ত হবে। ওজোন স্তরের ক্ষয় সামুদ্রিক শৈবাল, প্লাংকটনসহ সামগ্রিক উদ্ভিদ ও প্রাণীর ওপর ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলছে । এ কথা মনে রাখা উচিত, উদ্ভিদ ও প্রাণিজগতে বসবাসকারী সবারই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস করতে ওজোন স্তরের ক্ষয় কমবেশি নেতিবাচক ভূমিকা রাখছে। উদ্ভিদ ও প্রাণিজগতের বাস্তুসংস্থান রক্ষায় ওজোন স্তরের ভূমিকা তাই সবচেয়ে বেশি।

উন্নত দেশগুলোর শিল্পায়ন ও অতিবিলাসী জীবনযাপনের কারণে দিন দিন বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে আমাদের এই পৃথিবী। আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় ক্লোরোফ্লোরোকার্বন, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্রপাতি, রেফ্রিজারেটর, অ্যারোসল, অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র, ওজোন স্তর ধ্বংসকারী বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ উদগীরণ হচ্ছে। পৃথিবীর প্রায় ৬০ ভাগ কার্বন নিঃসরণ করে থাকে আমেরিকা, চীন, রাশিয়া, ভারত, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য । বিশেষ করে শিল্পোন্নত দেশগুলোকে কার্বন নিঃসরণ কমানোর দিকে নজর দিতে হবে। ওজোন স্তর রক্ষায় এসব দেশগুলোকে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে এনে বিকল্প জ্বালানির সন্ধান করতে হবে। জীবাশ্ম জ্বালানির প্রয়োগ কমিয়ে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। যেমন সূর্যশক্তি, বায়ুশক্তি, পানিশক্তির মতো নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার ।

 

 

Content added By

বায়ুমন্ডলের স্তরবিন্যাস (১.৪.২)

1.7k
1.7k

১.৪.২ বায়ুমণ্ডলের স্তরবিন্যাস

সাধারণত বায়ুমণ্ডলের উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে বায়ুর চাপ এবং ঘনত্ব হ্রাস পায়। কিন্তু তাপমাত্রার সঙ্গে উচ্চতার আরো জটিল সমীকরণ আছে এবং কিছু অঞ্চলে উচ্চতা বাড়ার সাথে সাথে তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে স্থির বা এমনকি বৃদ্ধি পেতে পারে। তাপমাত্রার এই আচরণ বুঝে বায়ুমণ্ডলীয় স্তরের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করা যায়। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল পাঁচটি প্রধান অরে (একে বায়ুমণ্ডলীয় স্তরবিন্যাস বলা হয়) ভাগ করা যায়। সর্বোচ্চ থেকে সর্বনিম্ন পর্যন্ত এই স্বরগুলো হচ্ছে-

১) ট্রপোমণ্ডল (Troposphere): শূন্য (০) থেকে ১২ বা ১৫ কিলোমিটার 

২) স্ট্র্যাটোমণ্ডল (Stratosphere): ১২ বা ১৫ থেকে ৫০ কিলোমিটার (ওজোন স্তরের অবস্থান 

৩) মেসোমণ্ডল (Mesosphere): ৫০ থেকে ৮০ কিলোমিটার 

৪) তাপমণ্ডল (Thermosphere) to থেকে ৭০০ কিলোমিটার 

৫) এক্সোমণ্ডল (Exosphere): ৭০০ কিলোমিটারের উর্দ্ধে

ট্রপোমন্ডল (Troposphere): 

ট্রপোমন্ডল ভূপৃষ্ঠ থেকে শুরু হয় এবং প্রায় ১২ বা ১৫ কিলোমিটার উচ্চতায় ট্রপোবিরতি পর্যন্ত বিস্তৃত। যদিও এই উচ্চতার তারতম্য ঘটে আবহাওয়ার কারণে যা মেরুতে প্রায় ৯ কিলোমিটার (৩০,০০০ ফুট) এবং বিষুবরেখায় প্রায় ১৭ কিলোমিটার (৫৬,০০০ ফুট)। ট্রপোমন্ডল সবচেয়ে বেশি উত্তপ্ত হয় ভূপৃষ্ঠ কর্তৃক বিকিরণকৃত তাপশক্তি দিয়ে, তাই সাধারণত ট্রপোমন্ডলর সবচেয়ে নিচে অংশ উষ্ণ এবং উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে এই স্তরের তাপমাত্রা হ্রাস পায়। মূলত সমস্ত আবহাওয়ার উপাদান (যেমন মেঘ ইত্যাদি) সহ ট্রপোমন্ডল বায়ুমন্ডলের ভরের প্রায় ৮০% ধারণ করে। ট্রপোবিরতি হচ্ছে ট্রপোমন্ডল ও স্ট্র্যাটোমন্ডলের মধ্যে সীমারেখা স্বরুপ।

স্ট্র্যাটোমন্ডল (Stratosphere): 

স্ট্র্যাটোমন্ডল অঞ্চল পৃথিবী থেকে ১২ বা ১৫ কিলোমিটার উপরে ট্রপোবিরতি হতে শুরু হয়ে স্ট্র্যাটোবিরতি পর্যন্ত ৫০ থেকে ৫৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। স্ট্র্যাটোমন্ডলের শীর্ষে বায়ুমন্ডলীয় চাপ সমুদ্র পৃষ্টের ১০০০ ভাগের এক। ওজোন স্তর দিয়ে অতিবেগুনি রশ্মির বিকিরণ শোষণ বৃদ্ধির কারণে উচ্চতার সঙ্গে সঙ্গে এই স্তরের তাপমাত্রা বাড়ে। ট্রপোবিরতিতে তাপমাত্রা - ৬০° সেলসিয়াস (-৭৬° ফাঃ) হতে পারে । স্ট্রাটোমন্ডলের উপরে অনেক গরম।

মেসোমন্ডল (Mesosphere): 

মেসোমন্ডল সমুদ্রপৃষ্ট হতে ৫০ কিলোমিটার উপরে স্ট্র্যাটোবিরতি থেকে শুরু হয়ে মেসোবিরতি পর্যন্ত প্রায় ৮০ থেকে ৮৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। উল্কাপিন্ড সাধারণত ৭৬ কি:মি: থেকে ১০০ কি:মি: উচ্চতার মধ্যে মেসোমন্ডলে দেখা যায়। মেসোমন্ডলে উচ্চতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা হ্রাস পায়। মেসোমন্ডলের উপরে অবস্থিত মেসোবিরতিতে তাপমাত্রা এত হ্রাস পায় যে এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে শীতলতম স্থান এবং ঐ স্থানের গড় তাপমাত্রা প্রায় ৮৫° সেলসিয়াস (-১২০° ফাঃ)। এই উচ্চতায় তাপমাত্রা - ১০০° সেলসিয়াস (- ১৫০° ফাঃ) পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে। এই স্তরের ঠান্ডা তাপমাত্রার কারণে জলীয় বাষ্প জমাট বাঁধে ।

তাপমণ্ডল (Thermosphere): 

তাপমন্ডল প্রায় ৮০ কিলোমিটার (৫০ মাইল; ২৬০.০০০ ফুট) উপরে অবস্থিত এবং মেসোবিরতি থেকে থার্মোবিরতি পর্যন্ত বিস্তৃত। এই স্তরের তাপমাত্রা উচ্চতা বৃদ্ধি সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে যা সর্বোচ্চ ১,৫০০° সেলসিয়াস (২,৭০০° ফাঃ) পর্যন্ত হয়। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের কক্ষপথ এই স্তরের ৩২০ থেকে ৩৮০ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত। মেরুজ্যোতি যা উত্তর গোলার্ধে অরোরা বোরিয়ালিস (aurora borealis) এবং দক্ষিণ গোলার্ধে অরোরা অস্ট্রালিস (aurora australis) নামে পরিচিত তা মাঝেমধ্যে তাপমন্ডল এবং এক্সোমন্ডল নিচের অংশ দেখা যায়।

এক্সোমণ্ডল (Exosphere): 

এক্সোমন্ডল হচ্ছে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের সবচেয়ে দূরবর্তী স্তর, এবং সমুদ্রতল হতে প্রায় চাঁদের দূরত্বের অর্ধেক পথ । এটি প্রধানত হাইড্রোজেন, হিলিয়াম এবং কিছু ভারী অণুসমূহ যেমন নাইট্রোজেন, অক্সিজেন এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড দিয়ে গঠিত। এই অণু ও পরমাণু সমূহ পরস্পর থেকে এত দূরে থাকে যে একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় না ফলে বায়ুমন্ডল আর গ্যাস হিসাবে আচরণ করে না। এই সকল মুক্ত ভ্রমনরত কণাসমূহ নিক্ষিপ্ত বস্তুর নির্দিষ্ট আবক্র পথ অনুসরণ করে। এই স্তরে বায়ু খুবই হাল্কা অবস্থায় থাকে ।

ওজোন স্তরের ক্ষতি প্রতিরোধ ও মন্ট্রিল চুক্তি- 

যে সকল পদার্থ ওজোন স্তরের ক্ষয় সাধন করে, সেসবের উৎপাদন ধীরে ধীরে কমিয়ে একেবারে শূন্যে নিয়ে আসার জন্য ১৯৮৭ সালে কানাডার মন্ট্রিল শহরে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় একে মন্ট্রিল প্রটোকল বলে । ১৯৮৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এটি কার্যকর হয়। এ পর্যন্ত মন্ট্রিল চুক্তি ৫ বার সংশোধিত হয়। সর্বশেষ ২০১৬ সালে এটি সংশোধিত হয়। মোট স্বাক্ষরকারী দেশ ১৮০। চুক্তি অনুযায়ী দেশগুলি সিএফসির (CFC) (ক্ষতিকর গ্যাস, যা সম্পর্কে পরবর্তীতে বিস্তারিত জানবে) মতো রাসায়নিক উৎপাদন কমাতে সম্মত হয়। ওজোন স্তরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই ভূমিকার জন্য জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ওজোন লেয়ার সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে সেপ্টেম্বরের ১৬ তারিখটি মনোনীত করেছে।

 

 

Content added By

রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং সেক্টরের মাধ্যমে ওজোন স্তরের ক্ষতি (১.৪.৩)

257
257

১.৪.৩ রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং সেক্টরের মাধ্যমে ওজোন স্তরের ক্ষতি

বর্তমান ও অদূর ভবিষ্যতে পৃথিবীর জন্য সবচেয়ে বড় যে হুমকি তা হচ্ছে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং (Global Warming)। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে আমাদের যেমন শারীরিক অসুস্থতার সৃষ্টি হচ্ছে তেমনি আমাদের পৃথিবীর মেরু অঞ্চলের বরফ বা হিমবাহ গলে যাচ্ছে। এই বরফ বা হিমবাহ যদি অতিরিক্ত পরিমাণে গলে যায় তাহলে সমুদ্রপৃষ্ঠের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে । এতে ধারণা করা হচ্ছে, ২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবীর মানচিত্রের নিম্ন অঞ্চলের দেশ যেমন - বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, ভারত, শ্রীলংকা সহ বিভিন্ন দেশের কিছু অংশ চিরদিনের জন্য সমুদ্রের পানিতে প্লাবিত হয়ে যাবে।

এই বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রধান কারনের মধ্যে অন্যতম হলো ওজোন স্তরের ক্ষতি। কার্বন ডাই অক্সাইড, সিএফসি (CFC) গ্যাস সহ বিভিন্ন গ্যাসের কারণে এই ওজোন স্তরের ক্ষতি হচ্ছে। রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং -এ সিএফসি (CFC) যুক্ত হিমায়ক ব্যবহার করা হয়। যখন রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেমে ছিদ্র বা লিক হয় তখন এই সিএফসি (CFC) যুক্ত হিমায়ক বায়ুমন্ডলের সাথে মিশে গিয়ে ওজোন স্তরের ক্ষতি করছে।

ওজোন স্তরের ক্ষতি কমানোর জন্য

  • রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেমে ব্যবহৃত রেফ্রিজারেন্টকে ছেড়ে না দিয়ে সংরক্ষণ এবং পুনঃব্যবহার করা উচিৎ
  • পরিবেশ বান্ধব রেফ্রিজারেন্টের ব্যবহার করা উচিত যেমন: R - 123, R - 134a, R-695, হাইড্রোকার্বন ব্লেন্ড
  • সেই সকল রেফ্রিজারেন্ট ব্যবহার করা উচিত যা ওজোন স্তরের ক্ষতি করে না এবং যাতে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমান কম থাকে ।

 

 

Content added By

রেফ্রিজারেশন সেক্টরে “গুড প্র্যাকটিস” ও “রেগুলার প্র্যাকটিস” এর পার্থক্য বুঝে “গুড প্র্যাকটিস” অনুসরণ (১.৫)

187
187

১.৫ রেফ্রিজারেশন সেক্টরে “গুড প্র্যাকটিস” ও “রেগুলার প্র্যাকটিস” এর পার্থক্য বুঝে “গুড প্র্যাকটিস” অনুসরণ

এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা রেগুলার বা সাধারণ প্র্যাকটিসের ঝুঁকি বা ক্ষতি, গুড প্র্যাকটিস বা ভালো অনুশীনের সুবিধা, রেগুলার প্র্যাকটিস ও গুড প্র্যাকটিসের মধ্যকার পার্থক্য, গুড প্র্যাকটিসের জন্য করণীয়, রেফ্রিজারেশন ও এয়ার কন্ডিশনিং এর কাজে কিছু রেগুলার প্র্যাকটিস ও সেই রেগুলার প্র্যাকটিসের কুফল সম্পর্কে জানব ।

 

Content added By

রেগুলার প্র্যাকটিস (১.৫.১)

188
188

১.৫.১ রেগুলার প্র্যাকটিস

গতানুগতিক ভাবে নিরাপত্তা ও কাজের নির্দিষ্ট স্ট্যান্ডার্ড না মেনে কোন কাজ করাকে রেগুলার প্র্যাকটিস বা সাধারণ অনুশীলন বলে। যেমন- ওয়ার্কশপে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা না রাখা, ফার্স্ট এইড বক্স না রাখা ইত্যাদি রেগুলার প্র্যাকটিসের অন্তর্ভূক্ত ।

রেগুলার প্র্যাকটিসের ঝুঁকি বা ক্ষতিগুলো হল -

  • সর্বদা কর্মীর জীবন হানি বা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার ঝুঁকি থাকে
  • কর্মক্ষেত্র/কারখানা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকে 
  • কর্মীর দক্ষতা বাড়ে না বা দক্ষ কর্মী তৈরি হয় না
  • প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত কর্মী পাওয়া যায় না 
  • অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হওয়া যায় না, ইত্যাদি ।

 

Content added By

গুড প্র্যাকটিস (১.৫.২)

201
201

১.৫.২ গুড প্র্যাকটিস

নিরাপত্তা বজায় রেখে কাজের নির্দিষ্ট স্ট্যান্ডার্ড মেনে কোন কাজ করা এবং নিয়মিত কাজে সেই অনুশীলন ধরে রাখাকে গুড প্র্যাকটিস বা ভাল অনুশীলন বলে। যেমন- পরিপূর্ণ পি পি ই ব্যবহার নিশ্চিত করা, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা রাখা ইত্যাদি গুড প্র্যাকটিসের অর্ন্তভূক্ত।

গুড প্র্যাকটিসের সুবিধা

ভাল অনুশীলন এমন একটি পদ্ধতি বা কৌশল যা সাধারণত যে কোনও উপায়ের চেয়ে উন্নত হিসাবে গৃহীত হয়। কারণ এটি এমন ফলাফল বয়ে আনে যা অন্য উপায়ে অর্জনের চেয়ে উন্নততর হয়।

কর্মক্ষেত্রে -

  • কর্মীর দক্ষতা বাড়ে বা দক্ষ কর্মী তৈরি হয়
  • প্রতিষ্ঠানে কর্মী পেতে অসুবিধা হয়না
  • কাজের অভাব হয়না
  • প্রতিষ্ঠানটি অনেক দিন টিকে থাকে
  • অন্য সকলের কাছে এটি একটি মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়, ইত্যাদি

স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে -

  • জীবন হানি বা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার ঝুকি থাকে না বিধায় কর্মী নিশ্চিন্তে কাজ করে
  • কর্মীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে
  • কর্মীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে বিধায় অনুপস্থিতির হার কমে যায়, ইত্যাদি

অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে - 

প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মী উভয়েই অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হয়, ইত্যাদি।

 

 

Content added By

রেগুলার প্র্যাকটিস ও গুড প্র্যাকটিসের মধ্যকার পার্থক্য (১.৫.৩)

263
263

১.৫.৩ রেগুলার প্র্যাকটিস ও গুড প্র্যাকটিসের মধ্যকার পার্থক্য

 

Content added By

গুড প্র্যাকটিসের জন্য করণীয় (১.৫.৪)

203
203

১.৫.৪ গুড প্র্যাকটিসের জন্য করণীয়

  • নিয়মিত কাজে পরিপূর্ণ পিপিই এর ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে
  • কর্মীকে পিপিই এর ব্যবহারে উৎসাহিত করতে হবে
  • ওয়ার্কশপ/কর্মক্ষেত্রে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করতে হবে
  • প্রয়োজনীয় সকল টুলসের ব্যবস্থা করা ও এর ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে
  • ওয়ার্কশপ /কর্মক্ষেত্রে ব্যবহৃত ঘুর্ণায়মান মেশিনে গার্ড নিশ্চিত করতে হবে
  • ত্রুটিপূর্ণ যন্ত্রপাতি পরিবর্তন/মেরামত করতে হবে
  • পর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপক সরঞ্জামের ব্যাবস্থা করা ও সকল কর্মীকে এর ব্যবহার শেখাতে হবে
  • কর্মীর সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে
  • কর্মীর ভালো কাজে প্রশংসা ও খারাপ কাজে সংশোধন করতে হবে
  • কর্মীর মান উন্নয়নে কাজের স্ট্যান্ডার্ড মেনে কাজ করার ট্রেনিং দিতে হবে
  • গ্রাহকের কাজে মিথ্যা তথ্য দিয়ে অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ করা যাবে না
  • স্ট্যান্ডার্ড গাইড লাইন মেনে সকল কাজ পরিচালিত করতে হবে, ইত্যাদি ।

 

Content added By

রেফ্রিজারেশন ও এয়ার কন্ডিশনিং এর কাজে কিছু রেগুলার প্র্যাকটিস বা সাধারণ অনুশীলন (১.৫.৫)

197
197

১.৫.৫ রেফ্রিজারেশন ও এয়ার কন্ডিশনিং এর কাজে কিছু রেগুলার প্র্যাকটিস বা সাধারণ অনুশীলন

১। কাজের সময় কোন প্রকার পিপিই (হেলমেট, গগলস, মাস্ক, এ্যাপ্রোন, সেফটি সু ইত্যাদি) এর ব্যবহার না করা । 

২। ওয়ার্কশপে অগ্নিনির্বাপক ব্যাবস্থা না রাখা। 

৩। ফার্স্ট এইড বক্স না রাখা। 

৪। ওয়ার্কশপ অপরিষ্কার ও এতে অপর্যাপ্ত জায়গা। 

৫। ঝুঁকিপূর্ণ ইলেকট্রিক ওয়্যারিং। 

৬। কাজের সঠিক টুলস ব্যবহার না করা। 

৭। উচু বিল্ডিং এর বাইরের দিকে কাজ করতে কোন প্রকার নিরাপত্তা সামগ্রী (সেফটি বেল্ট ইত্যাদি) ব্যবহার না করা। 

৮। গ্যাস চার্জ করতে কোন প্রকার গেজ ব্যবহার না করা। 

৯। গ্যাস রিকভারি না করা । 

১০। গ্যাস চার্জ করার আগে ভ্যাকুয়াম না করা । 

১১। হাই প্রেশারগেজ দিয়ে ভ্যাকুয়াম করা। 

১২। গ্যাস চার্জ করতে ইলেকট্রিক মিটার (ক্লিপ অন) ব্যবহার না করা। 

১৩। অভিজ্ঞ কর্মী তৈরি না করা। 

১৪। গ্রাহক এর সাথে খারাপ ব্যবহার করা। 

১৫। মিথ্যা তথ্য দিয়ে বেশি বিল করা, ইত্যাদি ।

রেগুলার প্র্যাকটিসের কুফল

 

 

Content added By

রেফ্রিজারেশন সেক্টরে গ্রীনপলিসি বাস্তবায়ন ও এর প্রভাব সম্পর্কে জেনে তা অনুসরণ (১.৬)

275
275

১.৬ রেফ্রিজারেশন সেক্টরে গ্রীনপলিসি বাস্তবায়ন ও এর প্রভাব সম্পর্কে জেনে তা অনুসরণ

এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা রেফ্রিজারেন্ট বা হিমায়ক, হিমায়কের শ্রেণিবিভাগ, Ozone Depletion Potential (ODP) ও Global Warming Potential (GWP), Hydro Fluro Olefins (HFO) হিমায়ক, গ্রীন বা প্রাকৃতিক রেফ্রিজারেন্টের সুবিধা সম্পর্কে জানব।

Content added || updated By

রেফ্রিজারেন্ট (১.৬.১)

189
189

১.৬.১ রেফ্রিজারেন্ট (Refrigerent)

রেফ্রিজারেশন এবং এয়ার-কন্ডিশনিং এ রেফ্রিজারেন্ট একটি অপরিহার্য প্রবাহী। এটি ছাড়া এখন পর্যন্ত কোন রেফ্রিজারেটর, এয়ার-কন্ডিশনার, ওয়াটার কুলার, ডি-হিউমিডিফায়ার তৈরি করা সম্ভব হয়নি। হিমায়ক দুই প্রকার ১। প্রাইমারি হিমায়ক ২। সেকেন্ডারি হিমায়ক

প্রাইমারি হিমায়ককে চার ভাগে ভাগ করা যায়-

  • হ্যালো-কার্বন হিমায়ক (Halo-carbon) (R-11, R - 12, R - 22, R - 123, R-134a) 
  • আজিওট্রোপ হিমায়ক ( Azeotrope) R 502 ( R - 22 + R - 155 ) R - 503 (R-23+R-13)
  • অজৈব হিমায়ক (Inorganic) (R717, R-744, R-718 ) 
  • হাইড্রো কার্বন হিমায়ক (Hydrocarbon ) ( R - 290, R - 600, R-600a, R - 1120 ) 
  • জিওট্রপিক হিমায়ক R 404a ( R-125 + R - 143a + R - 134a), R-410a ( R-32+R-125)

 

Content added By

রাসায়নিক সংকেতের দিক দিয়ে হিমায়কের শ্রেনিবিভাগ (১.৬.২)

376
376

১.৬.২ রাসায়নিক সংকেতের দিক দিয়ে হিমায়কের শ্রেনিবিভাগ

  • ক্লোরো ফ্লোরো কার্বন হিমায়ক CFC (R-11, R-12, R-113) 
  • হাইড্রোক্লোরো ফ্লোরো কার্বন হিমায়ক HCFC (R-22, R-123)
  • হাইড্রো ফ্লোরো কার্বন হিমায়ক HFC (R134a, R - 410a, R - 125 ) 
  • হাইড্রো কার্বন হিমায়ক HC (R - 290, R-600a, R-600 )
  • হাইড্রো কার্বন ব্লেন্ড হিমায়ক HC blend (R 29050%+R-600a 50%)

আমরা ১.৪ এ জেনেছি রেফ্রিজারেশন ও এয়ার কন্ডিশনিং এ ব্যবহৃত CFC (এবং HCFC) গ্রুপের হিমায়কের ক্লোরিন উপাদান ওজোন স্তরের ক্ষতি সাধন করে । এদেরকে পরিবেশের শত্রু গ্যাস বলে। তাই ওজোন স্তর বা পরিবেশের ক্ষতি করে না এমন রেফ্রিজারেন্ট আবিষ্কার করার জন্য বিজ্ঞানীরা এখন নিরলশ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। নতুন উদ্ভাবিত কোন হিমায়কে যদি প্রচলিত হিমায়কের চেয়ে ভাল বৈশিষ্ট্যের হয়ে থাকে সেগুলোকে আধুনিক হিমায়ক বলে। বর্তমানে বিজ্ঞানীরা এমন ধরনের রেফ্রিজারেন্ট আবিষ্কার করেছেন যা পরিবেশের জন্য হুমকি নয়- এতে ODP ( Ozone Depletion Potential) ও GWP (Global Warming Potential ) কম থাকে। এই ধরনের রেফ্রিজারেন্টকে গ্রীন বা প্রাকৃতিক রেফ্রিজারেন্ট বলে ।

  • ODP হচ্ছে ওজোন স্তরকে নষ্ট করার তুলনামূলক পরিমাণ 
  • GWP হচ্ছে একটি গ্যাসের প্রদত্ত ভর গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ে বা বৈশ্বিক উষ্ণতায় কতটা অবদান রাখে তার একটি পরিমাপ। GWP পৃথিবীতে উত্তাপ তৈরি করে
  • যে রেফ্রিজারেন্টের ODP ও GWP যত বেশি, সেই রেফ্রিজারেন্ট আমাদের পরিবেশের জন্য তত বেশি ক্ষতিকর

 

 

Content added By

কোন ধরনের রেফ্রিজারেন্ট পরিবেশে কত বছর টিকে থাকে এবং তাদের ODP ও GWP (১.৬.৩)

234
234

১.৬.৩ কোন ধরনের রেফ্রিজারেন্ট পরিবেশে কত বছর টিকে থাকে এবং তাদের ODP ও GWP-

 

Content added By

HFO (Hydro Fluro Olefins) হিমায়ক (১.৬.৪)

183
183

 HFO (Hydro Fluro Olefins) হিমায়ক

HFO হাইড্রোজেন, ফ্লোরিন এবং কার্বন দিয়ে গঠিত। HFO রেফ্রিজারেন্টগুলি শূন্য (০) ওজোন হ্রাস সম্ভাবনা (ODP) এবং নিম্ন গ্লোবাল ওয়ার্মিং সম্ভাবনা (GDP) হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাই HFO হিমায়ককে CFC, HCFC এবং HFC হিমায়কের বিকল্প পরিবেশ বান্ধব হিমায়ক বলা হয়। HFO রেক্সিজারেন্ট গুলো সহজাত ভাবে অ-বিষাক্ত এবং অ-ফুলনযোগ্য বা হাল্কা জ্বালনযোগ্য । HFO রেক্সিজারেন্টের बिचिए এবং বয়েন্সিং পয়েন্ট রেফ্রিজারেশন সিস্টেমের জন্য ভালো । HFO হিমায়ক চতুর্থ প্রজন্মের (4th Generation) হিমায়ক হিসেবে প্রচলিত হচ্ছে। HFO রেফ্রিজারেন্টের মধ্যে রয়েছে R-1234ze, R - 1234yf । 

 

Content added By

গ্রীন বা প্রাকৃতিক রেফ্রিজারেন্টের সুবিধা (১.৬.৫)

196
196

১.৬.৫ গ্রীন বা প্রাকৃতিক রেফ্রিজারেন্টের সুবিধা

  • সবচেয়ে বড় সুবিধা এগুলো ওজোন স্তরের ক্ষতি করে না। পরিবেশের ক্ষতি করে না বলে এগুলোকে পরিবেশের বন্ধু হিমায়ক বলে
  • কার্বন ডাই অক্সাইডের উপস্থিতি নেই 
  • বিষ্ফোরক নয় 
  • অদাহ্য 
  • সমপরিমান শক্তি ব্যয়ে অধিক কাজ করা যায়। হিমায়ক 69s হিমায়ক 502 এর তুলনায় RE বেশি WP কম সুতরাং Coefficient of Performance (COP) বেশি
  • ODP এবং GWP কম 
  • আকাশে কম সময়ের অস্তিত্ব (Less Atmospheric Life Time )

উদাহরণ স্বরূপ, HFO, R - 1234yf রেফ্রিজারেন্ট বায়ুমন্ডলে যার অবস্থান ১১ দিন, যেখানে HFC-134a হিমায়ক ১৪ বছর বায়ুমন্ডলে অবস্থান করে। HFO হিমায়কে কোন ODP না থাকায় ওজোন স্তরের ক্ষতি করে না । এতে কোন ব্রোমিন, ক্লোরিন না থাকায় নিচের বায়ুমন্ডলেই এদের কার্যক্ষমতা নষ্ট হয় ।

সম্প্রতি R-1234yf হিমায়ক বিকল্প হিসেবে HFC R-134a রেফ্রিজারেন্টের পরিবর্তে ব্যবহার করার প্রস্তাব করা হয়েছে। R-1234yf এর ODP শূন্য এবং GWP অনেক কম ।

HFC R-134a এর তুলনায় R-1234yf অটোমোবাইল এয়ার কন্ডিশনিং এ দক্ষতা বেশি । HFO-1234ze বিকল্প রেফ্রিজারেন্ট সুপার মার্কেটের এয়ারকুল্ড এবং চিলারগুলিতে, বাণিজ্যিক ভবনে ব্যবহারে কর্মক্ষমতা বেশি পাওয়া যায় । রেফ্রিজারেন্ট HFO R-1234ze তে ODP শূন্য এবং কম GWP ।

ন্যাচারাল রেফ্রিজারেন্ট ব্যবহারে সর্তকতা

কোন কোন ক্ষেত্রে এই রেফ্রিজারেন্টগুলো হাল্কা জ্বলনযোগ্য হয়ে থাকে। তাই এই ধরনের রেফ্রিজারেন্ট ব্যবহারে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়।

 

 

Content added By

জব ১: ফায়ার ফাইটিং ইকুইপমেন্ট বা যন্ত্রপাতির সঠিক ব্যবহার করা

220
220

জব ১: ফায়ার ফাইটিং ইকুইপমেন্ট বা যন্ত্রপাতির সঠিক ব্যবহার করা।

পারদর্শিতার মানদন্ড

  • স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা (পিপিই) পরিধান করা 
  • আগুন নেভানোর সঠিক এক্সটিংগুইশার নির্বাচন করতে পারা 
  • সঠিক পদ্ধতিতে আগুন নেভাতে পারা
  • কাজ শেষে ওয়ার্কশপের নিয়ম অনুযায়ী কাজের স্থান পরিষ্কার করা 
  • অব্যবহৃত মালামাল নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা এবং ওয়েস্টেজ এবং ক্র্যাপ নির্ধারিত স্থানে ফেলা
  • কাজের শেষে চেক লিস্ট অনুযায়ী টুলস ও মালামাল জমা দেয়া

(ক) ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম

 

(খ) প্রয়োজনীয় ৰত্ৰপাতি (টুলস, ইকুইপমেন্ট ও মেশিন)

 

(গ) মালামাল (Raw Materials )

 

(ঘ) কাজের ধারা 

১. নিরাপত্তা গ্রহণ কর ও স্পেসিফিকেশন শিটে উল্লেখিত মালামাল সংগ্রহ কর। 

২. আগুন জ্বালানোর সকল সামগ্রী সংগ্রহ কর। 

৩. জ্বালানী কাঠে আগুন জ্বালাও । 

৪. ফায়ার এক্সটিংগুইশারের মাধ্যমে চিত্র অনুযায়ী (PASS) পদ্ধতি ব্যবহার করে আগুন নেভাও ।

 

কাজের সতর্কতা

  • অবশ্যই নিরাপত্তা মূলক সরঞ্জাম ব্যবহার করে কাজ করতে হবে 
  • অগ্নিনির্বাপক যথাযথ সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে 
  • কাজটি করতে কোন প্রকার অসুবিধার সম্মুখীন হলে অবশ্যই শিক্ষক/ট্রেইনারকে জানাতে হবে

আত্নপ্রতিফলন 

অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দিয়ে আগুন নেভানো ও আগুনসৃষ্ট ধোঁয়া হতে ওয়ার্কশপের শিক্ষার্থীদের নিরাপদ স্থানে আশ্ৰয় নেয়ার দক্ষতা অর্জিত হয়েছে/হয় নাই/আবার অনুশীলন করতে হবে।

 

 

Content added By

অনুশীলনী

186
186
Please, contribute by adding content to অনুশীলনী.
Content
টপ রেটেড অ্যাপ

স্যাট অ্যাকাডেমী অ্যাপ

আমাদের অল-ইন-ওয়ান মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সীমাহীন শেখার সুযোগ উপভোগ করুন।

ভিডিও
লাইভ ক্লাস
এক্সাম
ডাউনলোড করুন
Promotion
;